আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি:
আশুলিয়ার একটি ফার্নিচারের ব্যবসায়িক অপহরণ করার ৫ দিন পরে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় এক নারীসহ ৬ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অপহরণকৃত আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এর আগে, গত ২২ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচটের বগাবাড়ি এলাকার নাম্বার ওয়ান স্মার্ট ফার্ণিচারের দোকান থেকে মেহেদী হাসান(৩৫) নামের ঐ ব্যবসায়ীকে সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
অপহরণের শিকার মেহেদী হাসান মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার পশ্চিম কলিয়া গ্রামের পান্নু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার শিমুলতলা এলাকায় ভাড়া থেকে ফার্ণিচারের ব্যবসা করে আসছিলেন।
গ্রেফতাররা হলেন- যশোর জেলার মনিরামপুর থানার কেরতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তার গাজীর ছেলে কেরামুন হোসেন সম্রাট (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার ধাউরা নয়াপাড়ার মৃত হাজী খবীর উদ্দীনের ছেলে আঃ আউয়াল (৫০) (মাইক্রোবাসের চালক), একই থানার আন্দুরার মৃত আঃ রশিদের ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া(৫০), পেকুরা গ্রামের নজমত আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম(৫১) ও তার স্ত্রী খাদিজা (৩৮)। এছাড়া একই জেলার বাসাইল থানার দাপনাজোর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া(৩৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের উত্তর গাজীরচট এলাকার মনির মন্ডল এর বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিয়ে ফার্নিচারের দোকান দোকান করেন। প্রতিদিনের মত গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেন। পরে রাত ৮ টার দিকে গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সাদা রংয়ের হায়েস মাইক্রোবাস (গাজীপুর-চ-১১-০০১৯) নিয়ে ফার্ণিচারের শোরুমের সামনে দাঁড়ান। পরে ৪/৫ জন শোরুমের ভিতরে প্রবেশ করে মেহেদীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করা হলে পর দিন ফোন করে মেহেদী জানায় তাকে অজ্ঞাতনামা কয়েক জন আটকে রেখেছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে টাঙ্গাইল থেকে তাকে উদ্ধার করে আসামিদের গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অপহৃতকে উদ্ধার করে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আসামীদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।