আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ স্মরণে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন

১.

যারা গণহত্যা করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু সেই সব পশুদের অভিশাপ দিয়েছেন বাঙালির এক কবি। অভিশপ্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র জনগণের উপর অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। বাঙালি জাতির জীবনে এক ভয়াল এবং বিভীষিকাময় রাত্রি নেমে এসেছিল সেদিন। পূর্ব পরিকল্পিত নীল নকশা অনুযায়ী বাঙালি নিধনের এই সেনা অভিযানের সাংকেতিক নাম ছিল অপারেশন সার্চ লাইট। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কজনক এবং বর্বরোচিত নিকৃষ্টতম গণহত্যা ছিল এটি।


২.

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে অতর্কিতে গণহত্যা শুরু করে নিরীহ বেসামরিক লোকজনের উপর।তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। ঐ দিন সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা সেদিন দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা ফিরে আসে। দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে।


গভীর রাতে পাকিস্তানি সেনারা পিলখানা,রাজারবাগ,নীলক্ষেত,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা মেশিনগান, ট্যাংক, মর্টারের মাধ্যমে দখল করে নেয়। মেশিনগানের গুলি, ট্যাংক-মর্টারের গোলা আর আগুনের লেলিহান শিখায় রাতের ঢাকা হয়ে উঠে বিভীষিকাময়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের অসহায় ছাত্রীরাও পাকিস্তানি হায়েনাদের কবল থেকে রক্ষা পায়নি। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব,ড.মনিরুজ্জামান,জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা,অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞটি চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। সেনা অভিযানের শুরুতেই বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৫ মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকল বাঙালির প্রতি আহবান জানান। তাঁর এই আহবানে সাড়া দিয়ে জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াই শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন,সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।


৩.

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অপারেশন সার্চ লাইট নামের যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে,সে অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করেছিল পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। এই নির্দেশনামার কোন লিখিত নথি রাখা হয়নি বলে জানা যায়। গণহত্যার পুরো নির্দেশটি মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। ২০১২ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত খাদিম হোসেন রাজার লেখা A Stranger in my own Country নামক আত্মজীবনী গ্রন্থে প্রথমবারের মত অপারেশন সার্চ লাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়। তিনি আরো লিখেছেন,১৭ মার্চ,সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউজে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি।গিয়ে দেখি সেখানে জেনারেল আব্দুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া কোন মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয় পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।


খাদিম হোসেন রাজার বইটিতে আরো উল্লেখ আছে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মার্চের উত্তাল আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই সামরিক হামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জেনারেল নিয়াজির লেখা The betrayal of East Pakistan বইটি পড়ে জানা যায় যে জেনারেল টিক্কা খান তাঁকে বলেছিলেন,"আমি পূর্ব পাকিস্তানের মাটি চাই,মানুষ চাই না।" বইটি পড়ে আরো জানা যায় যে টিক্কা খান পোড়া মাটি নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং সে অনুযায়ী জেনারেল রাও ফরমান আলী এবং ঢাকার ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জানজেব আরবাব হুকুম পালন করেন। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় জেনারেল রাও ফরমান আলী তাঁর টেবিল ডায়রিতে লিখে রেখেছিলেন,পূর্ব পাকিস্তানের সবুজ মাটি বাঙালির রক্তে লাল করা হবে।


নিয়াজি তাঁর বইটিতে আরো লিখেছেন,"২৫ মার্চ রাতে জুলফিকার আলি ভুট্টো ঢাকায় ছিলেন এবং তিনি দেখেছেন সেদিন রাতে টিক্কা খান কী করেছেন। সারা রাত ট্যাংক,কামান,মেশিনগানের শব্দ ভেদ করে ভেসে এসেছে ঢাকার অসহায় মানুষের আর্তনাদ।" ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক নামের অন্য একজন সেনা কর্মকর্তার লেখা Witness to Surrender বইটির ৭৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকালে শেরেবাংলানগরে অবস্থিত নিজের কমান্ড পোস্ট থেকে বাইরে এসে শহরের দিকে তাকিয়ে টিক্কা খান বিদ্রূপের হাসি হেসে বলেছিলেন,ঢাকা শহরে কয়েকটা নেড়ি কুত্তা ছাড়া মানুষজন আছে বলে তো মনে হয় না।


৪.

যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় বরণ করার পর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি হামুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অনেক চেষ্টা করেও গণহত্যার বিষয়টি সম্পূর্ণ ধামাচাপা দিতে পারেনি। ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী তদন্ত কমিটির কাছে বলেছিলেন, লে.কর্নেল ইয়াকুবের নির্দেশে ১৯৭১ সালের ২৭ ও ২৮ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসে বাঙালি অফিসারসহ ১৯৫ জন নিরীহ মানুষকে জবাই করে হত্যা করা হয়। সালদা নদী তীরবর্তী এলাকায় ৫০০ জনকে হত্যা করা হয় এবং গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরগুলো শত্রুমুক্ত করার নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক ধ্বংস,অগ্নিসংযোগ আর হত্যাযজ্ঞ চালায়। একজন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ইকবালুর রহমান তার জবানবন্দিতে বলেছেন,পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল গুল হাসান পূর্ব পাকিস্তানের সেনা ইউনিট পরিদর্শনের সময় সৈনিকদের জিজ্ঞাসা করতেন তুমি কয়জন বাঙালিকে হত্যা করেছ? আর একজন অফিসার লে.কর্নেল আজিজ আহমদ খানের সাক্ষ্য থেকে জানা যায় ঠাকুরগাঁওয়ে তার ইউনিটে গিয়ে জেনারেল নিয়াজি জিজ্ঞেস করতেন তোমরা কতজন হিন্দুকে হত্যা করেছ?


৫.

১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলাকালে ভয়াবহ গণহত্যার চিত্র ফুটে উঠেছে বিদেশি সাংবাদিক এবং কূটনৈতিকদের রিপোর্টেও। ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের বহুল আলোচিত সেই রিপোর্টটি ছাপা হয়েছিল লন্ডনের দৈনিক পত্রিকা টেলিগ্রাফে।রিপোর্টির কিছু অংশের বাংলা অনুবাদটি ছিল এরকম পাকিস্তান ও ধর্ম রক্ষার নামে ঢাকা নগরীকে ধ্বংস করে একটা ভয়ঙ্কর ভূতুরে নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে কম করে হলেও শুধু ঢাকায়ই ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ঢাকার অনেক এলাকাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়,গ্রেফতার করা হয় আরো ৩০০০ লোককে।


ঢাকায় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল মাত্র। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘরবাড়ি,দোকানপাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হলো। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশানভূমি। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাডের লেখা ক্রুয়েল বার্থ অফ বাংলাদেশ বইটির ২১৩ পৃষ্ঠায় পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যার বিবরণ পাওয়া যায়। এই গণহত্যার রিপোর্ট তিনি ২৮ মার্চ ওয়াশিংটনেও পাঠিয়েছিলেন। একই রকম গণহত্যার বর্ণনা পাওয়া যায় দিল্লিতে নিযুক্ত তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেন কিটিংয়ের রিপোর্টেও।


৬.

মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ব মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন তো ছিলই,পরবর্তীকালেও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিডিয়াও বাংলাদেশের গণহত্যার গবেষণালব্ধ তথ্যপ্রমাণসমূহ প্রকাশ করেছে। ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে বলা হয়-'মানব ইতিহাসে যত গণহত্যা তার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে সংখ্যার দিক থেকে সর্ববৃহৎ গণহত্যা হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে। প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ১২ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।' ঘটনার ১০ বছর পর এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল, তার মানে যথেষ্ট গবেষণা আর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করেছিল। যে আমেরিকা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল,সেই আমেরিকার এনসাক্লোপিডিয়া আমেরিকায় উল্লেখ আছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়। বইটির প্রচ্ছদেই উল্লেখ আছে- ১৯১৫ সালে আর্মেনিয়ায় গণহত্যার শিকার হয় ৮ লাখ মানুষ,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৬০ লাখ ইহুদি এবং ৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার শিকার হয় ৩০ লাখ মানুষ।


১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা 'প্রাভদা'য় প্রকাশিত হয় 'গত ৯ মাসে বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।' লন্ডনের 'মর্নিং নিউজ' প্রকাশ করে-গত ৯ মাসে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে।' ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যে এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল এ কথা  আজ সর্বজন স্বীকৃত। মাত্র ৮ মাস ২২ দিনে ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। রেকর্ডকৃত তথ্যমতে মানবসভ্যতার ইতিহাসে এত অল্প সময়ে এত বড় ভয়াবহ গণহত্যা বিশ্বের আর কোথাও ঘটেনি। প্রাচীন যুগ থেকে অত্যাধুনিক কাল পর্যন্ত বিশ্বের নানা দেশেই বিভিন্ন রকমের গণহত্যা হয়েছে,বেশিরভাগই হয়েছে গোপনীয় বা বিশেষ বাহিনী দ্বারা। ব্যতিক্রম ঘটেছে শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই।


পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র,নিরীহ মানুষের উপর সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে। পাকিস্তানিদের আক্রমণের পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ থেকে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় যে পাকিস্তানই আগ্রাসী পক্ষ এবং প্রথম আক্রমণকারী দেশ। জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী পাকিস্তান কোনভাবেই গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার দিবসটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দিবসটিকে খুব শীঘ্র গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করবে বলে আমরা গভীরভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

লেখক: অধ্যক্ষ ভাসানটেক সরকারী কলেজ, ঢাকা


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকসহ ফুটবলারদের চোখে লেজার লাইট মারার অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল ক্লাবের হয়ে খেলেন গুসমান। চোটের জন্য গত রোববার মনটেরির বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। স্ট্যান্ড থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকে লেজার মারতে দেখা যায় তাকে। তার এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পরে অবশ্য ক্ষমাও চান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

এক বিবৃতিতে গুসমানের ক্লাব টাইগ্রেস শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ফুটবলারকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথাও বলেছে তারা।


আরও খবর



হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল বাসস্ট্যান্ডে লঙ্কাকাণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ এলাকায় লঙ্কাকাণ্ড ঘটছে। গত শনিবার দুপুরে হর্ন বাজানো নিয়ে বাস চালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সহকর্মীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে সেখানকার বাস শ্রমিকরা। রাতে সেই সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে।

এরপর দফায় দফায় মারামারি, হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে একাধিক যানবাহন ভাংচুর করেছে দুই পক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে নথুল্লাবাদ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে বেলা ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১৫/২০ থ্রি-হুইলার (মাহেন্দ্র টেম্পো) ও ৩/৪টি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। তারা এক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। তবে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর থেকে এসে আটকে পড়া যাত্রীবাহী বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

থ্রি-হুইলার চালক সোহেল বলেন, বাস শ্রমিকরা নিজেরা মারামারি কইর‌্যা বাস বন্ধ করেছে। মোরা পাবলিক সার্ভিস দেতেয়াসেলাম। এর ফিন্নে (এ সময়) বাস শ্রমিকরা আইয়্যা মোগো উপারে হামলা করছে। পঞ্চাশটার বেশি থ্রি-হুইলার ভাইঙ্গ্যা হালাইসে।

গৌতম রায় নামে আরেক থ্রি-হুইলার চালক বলেন, অহেতুক তারা আইস্যা আমাদের উপারে হামলা করসে। বাস শ্রমিকরা তারা গাড়ি ভাঙছে, শ্রমিকদের মারছে, খাবার হোটেলও লুট কইর‌্যা লইয়্যে গেসে।

তিনিসহ থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের দাবি, তাদের গাড়ি যখন ভাংচুর করে বাস শ্রমিকরা, পুলিশ কিছু বলেনি। উল্টো পুলিশ এসে থ্রি-হুইলার চালক শ্রমিকদের পিটিয়েছে। এ সময় তাদের বেশকিছু শ্রমিক আহত হয়। তাদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

গৌতম আরও বলেন, তারা নথুল্লাবাদ থেকে ৭টি রুটে থ্রি-হুইলার চালান। ক্ষতিপূরণ না পেলে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখাসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন।

এদিকে বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা আকস্মিক তাদের ওপর সন্ধ্যার পর হামলা চালায়। যা প্রতিহত করতে গেলে টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় থাকা ১০-১২ টি বাস ভাংচুর করে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবির বলেন, সন্ধ্যার দিকে দুপুরের ঘটনা সমাধান করে বাস চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় আবার বাস ও থ্রি হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান বলেন, শ্রমিকদের একটি গ্রুপ প্ররোচনা দিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। তাই এখনও বাস চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস চলাচল শুরু করার চেষ্টা চলছে।

বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে শেবাচিমে ২৬ জন শ্রমিক ভর্তি হয়েছে বলে উভয় পক্ষ জানিয়েছে। এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে বরিশাল নগরের বৈদ্যপাড়ার প্রবেশ মুখ থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত সড়কে বিপুল সংখ্যক বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আটকা পড়ে। রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনের যানবাহন চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর



গ্রীষ্মে নতুন রুপে সেজেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রকৃতি থেকে কিছুদিন আগেই বিদায় নিয়েছে বসন্ত। ‌ঋতুর পালাবদলে আগমন ঘটেছে গ্রীষ্মের। বাংলা বর্ষপঞ্জির বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে রুক্ষতার ছাপ। তবে গ্রীষ্ম তার নিষ্প্রাণ রুক্ষতাকে ছাপিয়ে প্রকৃতিতে মেলে ধরেছে অপার সৌন্দর্য।

তেমনই গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেড়ে নিয়ে সবুজ প্রকৃতি আর লাল ইটপাথরে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস যেন হরেক রকম ফুলের ফসরা সাজিয়ে বসেছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, কনকচূড়া, বাগানবিলাস, জবা, বেলী কাঠগোলাপ, মাধবীলতাসহ রঙ-বেরঙের বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ দ্যুতি ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

গাছঠাসা ফোটা এসব ফুলের মিষ্টি সুবাসে পাগল প্রায় পাখি আর প্রজাপতিরা। রাজ্যের সব ফুল যেন এখানেই জড়ো হয়েছে। নানা রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। দেখেই মনে হবে, এ যেন এক স্বপ্নের বাগিচা। সেখানে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা রঙের ফুল। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ক্যাম্পাসের এই নির্মল সৌন্দর্য উপভোগ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে, শহীদ মিনার, মুন্নী সরণি, চৌরঙ্গী এলাকা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনের সড়কসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়ায় সুশোভিত হচ্ছে ক্যাম্পাস। জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনের পুকুরপাড়, শহীদ মিনার ও মুরাদ চত্বর এলাকা সেজেছে হলুদ কনকচূড়ার।

এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, শান্তিনিকেতন এলাকা ও মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বেগুনি শোভা ছড়াচ্ছে প্রায় অর্ধশতাধিক জারুল।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ সালাম-বরকত হলের পাশে, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রর পাশে , বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ও চৌরঙ্গী এলাকায় শোভা ছড়াচ্ছে সাদা ও গোলাপি রঙের মিশ্রণের ফুল ক্যাশিয়া রেনিজেরা ও ক্যাশিয়া জাভানিকা। ক্যাসিয়া রেনিজেরা ফুল লালন করছে অন্য রকম সৌন্দর্য। শ্বেতশুভ্র ভিনদেশি এ প্রজাতির ফুলগাছের আদি নিবাস জাপান। এর স্নিগ্ধ রূপ ও রং বৈচিত্র থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া কঠিন। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে  সোনালু, জবা, বেলী, মাধবীলতাসহ অসংখ্য ফুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র সাত্তার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রঙিন ফুলের সমাহার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। প্রকৃতির রুক্ষতা ও যান্ত্রিকতার রুদ্ধশ্বাস ভুলিয়ে যা আমাদের দেয় অপার স্বস্তি ও অনাবিল শান্তি। প্রকৃতি আমাদের বাঁচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের দৃশ্য মানুষকে প্রকৃতির সংরক্ষণ করার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়।

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আনিকা ইনতিসার বলেন, গ্রীষ্মের এই তাপদাহে চোখ মেলে তাকানোই যখনই দুষ্কর, তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙিন মন জুড়ানো লাল হলুদ সব ফুল দেখে শান্তি পাচ্ছি। কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া তাদের লাল কমলা সংমিশ্রণ সবুজের মাঝে সজ্জিত হয়ে আছে। শহীদ শুভ্র স্নিগ্ধ রূপের জাপানি ক্যাসিয়া রেনিজেরো ও শোভা ছড়াচ্ছে। মৃদু হলুদ রঙের সোনালুর ছায়াতে বৈশাখের গান শুনতে বা কবিতা পড়ার আনন্দ অন্যরকম। রং পুকুরে ফুলের ছবি কিংবা রাস্তার ধারে ধারে দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া নয়নাভিরাম পুষ্পরাজি যেকোন নিমিষেই ক্লান্ত মনকে দুরন্ত করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও গবেষক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় মিলে মোট ৯১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে মাত্রাধিক উৎসব পালন এবং ছাত্রদের অসচেতনতার কারণে গাছের নিচে প্রায়ই পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক বোতলের মতো অপচনশীল বর্জ্য জমা হয়ে থাকে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের প্রকৃতি।

নিউজ ট্যাগ: গ্রীষ্মকাল

আরও খবর



ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগ পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর