আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

২৪ অক্টোবর: ইতিহাসের এই দিনে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২৪ অক্টোবর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২৯৭তম (অধিবর্ষে ২৯৮তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ৬৮ দিন বাকি রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, জাতীয় দিবস সমূহ এবং এই দিনে কোন কোন বিশিষ্টজন জন্মগ্রহণ ও মৃত্যু বরণ করেছেন।

ঘটনাবলি

    ৬৯ - দানিয়ুব সেনবাহিনীর সেনাপতি অ্যান্টনিয়াস প্রিমিয়াসের অধীনে বেদ্রিয়াকামের দ্বিতীয় যুদ্ধ, তিনি ভেস্পেসিয়ানের অনুগত হন। তার সেনাবাহিনী সম্রাট ভিটেলিয়াসের বাহিনীকে পরাজিত করে।

    ১১৪৭ - চার মাস অবরধের পর ক্রুসেডার সৈন্যদের নেতৃত্ব নেন আফনসো হেনরিকস্, লিসবন পুনরদ্ধার করেন।

    ১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।

    ১২৬০ - মিশিরের মামলুক সুলতান সাইফ আদ্দিন কুতুয কে গোপনে খুন করা হয়।

    ১৩৬০ - দ্বিতীয় রয়ানক কলনির গভর্নর জন হোয়াইট তার সঙ্গীদের খুঁজে না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।

    ১৬০৫ - মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন।

    ১৬৪৮ - ত্রিশ বছর যুদ্ধের পর ওয়েস্ট ফেলিয়ার শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

    ১৭৯৫ - পোল্যান্ড-লিথুনিয়ান কমনওয়েলথ অস্ট্রিয়া,প্রুশিয়া এবং রাশিয়া এই তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়।

    ১৮১২ - নেপলিয়ানের যুদ্ধের গোলাগোলি ক্রমশ মালয়ারস্লাভেতস হতে মস্কোর সন্নিকটে সরে আসে।

    ১৮৫১ - কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু হয়।

    ১৮৫৭ - ইংল্যান্ডের শিফিল্ড শহরে পৃথিবীর সর্বপ্রথম ফুটবল ক্লাব,শিফিল্ড এফ. সি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ১৮৬১ - বিশ্বের প্রথম এ্যাসোসিয়েশন ফুটবল স্টেডিয়াম গুডিসন পার্ক উন্মুক্ত করা হয়।

    ১৯০১ - এ্যানি এডিসন টেইলর,একটি পিপার ভিতরে করে সর্বপ্রথম নায়াগ্রা জলপ্রাতন পার হন।

    ১৯১১ - অভরিল রাইট্ তার আবিস্কৃত উরজাহাজে করে নর্থ ক্যারলিনাআর আকাশে নয় মিনিট পাঁচল্লিশ সেকেন্ড ভেসে বেরান।

    ১৯১২ - প্রথম বল্কান যুদ্ধঃ সার্বিয়ানদের বিজয়ের মাধ্যমে কুমানোভের যুদ্ধের অবসান ঘটে।

    ১৯১৭ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্র-ইতালীয় কাপরেতোর সম্মুখ যুদ্ধ শুরু।

    ১৯২৬ - উত্তরমুখী অভিযানের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্যে সাংহাই এর শ্রমিকদের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের আয়োজন করা হয়।

    ১৯৩১ - জর্জ ওয়াশিংটন ব্রীজ জনগণের যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

    ১৯৪৪ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধঃ লেয়ট গালফ যুদ্ধে জাপানের যুদ্ধবিমান যুইকাকু এবং মুসাশি নামের একটি যুদ্ধ্বজাহাজ ডুবে যায়।

    ১৯৪৫ - জাতিসংঘের যাত্রা শুরু।

    ১৯৪৬ - ভি-২ নং ১৩ নামক নভোযান বহিঃমন্ডল থেকে পৃথিবীর ছবি তুলতে সমর্থ হয়।

    ১৯৪৭ - ওয়াল্ট ডিজনী "হাউস আন-আমেরিকান এ্যাক্টিভিটিস কমিটী" দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন।

    ১৯৫৪ - ডুইট ডি. আইসেনহাওয়ার আমেরিকার পক্ষে সাওথ ভিয়েতনামের সমর্থন করেন।

    ১৯৫৭ - আমেরিকান বিমানবাহিনী সামরিক ব্যবহারে জন্য "X-২০ ডায়না-সয়ার " কর্মসুচী চালু করে।

    ১৯৬০ - প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়।

    ১৯৬৪ - আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া ব্রিটিশ উপনিবেশের কবল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

    ১৯৬৪ - যুক্তরাজ্য থেকে উত্তর রোডেশিয়া স্বাধিনতা অর্জন করে।

    ১৯৭১ - ভারতের শরণার্থী সমস্যা ও বাংলাদেশ সংকটে ভারতের ভূমিকা ব্যাখ্যাকল্পে উনিশ দিনের জন্য পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইন্দিরা গান্ধী দিল্লি ত্যাগ করেন।

    ১৯৮০ - ইতালিতে সারা দেশ কাঁপানো তেল পাচার ঘটনা উদ্ঘাটন করা হয়। এই কেলাংকারীর সঙ্গে বেশ কয়েক জন সরকারী কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। সত্তর জনের বেশি লোক গ্রেফতার হয়।

    ১৯৮৪ - ভারতে প্রথম চালু হল কলকাতা মেট্রো [এসপ্লানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)]

    ১৯৮৬ - হিথরোতে বোমাহামলার জন্য নেযার হিন্দাওয়ি কে ৪৫ বছর কারাবাসের আদেশ দেয় ব্রিটিশ কোর্ট।

    ১৯৯৫ - বিশ্বের ১৪০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে জাতিসংঘের ৫০ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান পালিত হয়।

    ১৯৯৬ - যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে সাংঘাতিক হাঙ্গামা ঘটে।

    ১৯৯৮ - ঢাকায় মিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়।

    ২০০৩ - কনকর্ডের সর্বশেষ ফ্লাইট।

    ২০০৫ - ওইয়িলমা নামক হারিকেনটি ফ্লোরিডায় ভূমিধসের সৃষ্টি করে যার ফলে প্রায় ২০.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।

    ২০০৮ - "ব্লাডি ফ্রাইডে", এইদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে। শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়।

    ২০১৯ - আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনার ২০০শত দিনের মাথায় ৬১ কার্যদিবস শুনানির পর প্রধান আসামী অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলাসহ ১৬ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত (৬এপ্রিল, ২০১৯)।

 

 জন্ম

   ১৬৩২ - ডাচ্ অণুজীব বিজ্ঞানী এ্যান্টন ভন লীউওনহাক।

    ১৬৭৫ - ইংরেজ সেনা এবং রাজনীতিবীদ রিচার্ড টেম্পল।

    ১৭১০ - ইংলিশ ক্যাথলিক প্রিস্ট এবং লেখক আলবার্ট বাটলার।

    ১৭৭৫ - বাহাদুর শাহ জাফর, মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট।

    ১৮০৪ - জার্মান ফিজিস্ট ওয়েলহাম এডুয়ার্ড ওয়েবার।

    ১৮১১ - জার্মানসঙ্গীত পরিচালক ফার্ডিনান্ড হিটলার।

    ১৮৫৪ - জার্মান রসায়নবিদ হেন্ড্রিক উইলিয়াম।

    ১৮৮৭ - স্পেনের রানি ভিক্টরিয়া উইজেন অভ ব্যাটেনবার্গ।

    ১৮৯০ - শিশির কুমার মিত্র, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী।

    ১৮৯১ - ডমিনিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি রাফায়েল মলিনা-ট্রুজিলো।

    ১৮৯৪ - সালের এই দিনে বাঙ্গালী লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন।

    ১৮৯৯ - ফেরহাত আব্বাস, আলজেরীয় রাজনৈতিক নেতা এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি।

    ১৯০৩ - প্রমথেশ বড়ুয়া, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা পরিচালক চলচ্চিত্র নাট্যকার।

    ১৯০৬ - রাশিয়ান গণিতবিদ আলেকজান্ডার জেলফন্ড।

    ১৯১৪ - লক্ষ্মী সেহগল, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক সক্রিয় কর্মী,ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

    ১৯২১ - রাসীপুরম কৃষ্ণস্বামী লক্ষ্মণ, আর কে লক্ষ্মণ নামে সুপরিচিত ভারতীয় ব্যঙ্গশিল্পী ও কার্টুনশিল্পী।

    ১৯৩০ - মালায়শিয়ার বাদশাহ সুলতান আহমাদ শাহ।

    ১৯৩২ - নোবেল পদক প্রাপ্ত কানাডিয়ান অর্থনীতিবীদ রবার্ট মান্ডেল।

    ১৯৩৬ - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।

    ১৯৩৯ - রশীদ তালুকদার, বাংলাদেশী প্রখ্যাত আলোকচিত্র শিল্পী।

    ১৯৬৮ - বাংলাদেশী প্রখ্যাত লেখক ও ঔপন্যাসিক তুহিন রহমান।

    ১৯৭৬ - ভারতীয় অভিনেত্রী ও সাবেক মডেল মল্লিকা শেরওয়াত।

    ১৯৮০ - কৌশিকী চক্রবর্তী, একজন বিখ্যাত ভারতীয় ক্লাসিকাল সঙ্গীত শিল্পী।

    ১৯৮১ - ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শারাওয়াত।

    ১৯৮৫ - ওয়েন রুনি, ইংরেজ ফুটবল পেশাদার খেলোয়াড়।

    ১৯৮৬ - ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় জন রুডি।

 

মৃত্যু

    ১২৬০ - সাইফ আদ্দিন কুতুয মিশরের মামলুক সুলতান।

    ১৫৩৭ - ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরির তৃতীয় স্ত্রী জেন সেইমুর।

    ১৯৫০ - চিকিৎসাবিজ্ঞানী কুমুদশঙ্কর রায়।

    ১৯৫০ - রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও লেখক মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী।

    ১৯৫৪ - রফি আহমেদ কিদোয়াই, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী।

    ১৯৫৮ - ইংরেজি দার্শনিক জর্জ এডওয়ার্ড জি” মুর।

    ১৯৭৭ -হাতেম আলী খান,রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য।

    ২০০১ - জার্মান নিও নাৎসী হারম্যান গ্যাভিরিয়া।

    ২০১৩ - মান্না দে ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী।

    ২০১৭ -গিরিজা দেবী, সেনিয়া ও বারাণসী ঘরানার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।

 

ছুটি ও অন্যান্য

    জাম্বিয়ার স্বাধীনতা দিবস।

    জাতিসংঘ দিবস ৷

    আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ফুল মিয়া এবং সাঘাটা উপজেলায় মুক্তিনগর ইউনিয়নের শিপন নামের দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জেলার পৃথক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ফুলমিয়া অন্যদের সঙ্গে গড়দীঘি গ্রামে জমিতে ধান কাটতে যায়। দুপুরে হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হয় ফুল মিয়া। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ফুল মিয়া গড়দীঘি গ্রামের জোবায়ের আলীর ছেলে।

অপরদিকে সাঘাটা উপজেলায় শিপন মিয়া বুধবার দুপুরের দিকে মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে হালিম মেম্বারের জমিতে শ্রমিক হিসেবে ধান কাটছিলেন। এরই মধ্যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে শিপন মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শেফালী বেগম বলেন, বেলতৈল এলাকায় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি।

সাঘাটা থানার ওসি মো. মমতাজুল হক সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি শ্রমিক শিপন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



ট্রাম্পকে জরিমানা, জেলে পাঠানোর হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আদালত অবমাননার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা। এমনকি এই জরিমানা করার পরও তিনি আদালত অবমাননা থেকে বিরত না থাকলে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন বিচারক।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার বিচারকাজের সময় এ নির্দেশ দেন বিচারক।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়- এক লিখিত আদেশে বিচারক জুয়ান মার্চান বলেছেন, এই জরিমানা ট্রাম্পকে আদালতের আদেশ মান্য করাতে যথেষ্ট না-ও হতে পারে। তবে এর চেয়ে বেশি জরিমানা করার ক্ষমতা আমার নেই।’

তবে তিনি এ-ও বলেছেন, ট্রাম্প যদি ইচ্ছে করে আদেশ অমান্য করেন তাহলে তা আদালত সহ্য করবেন না। প্রয়োজনে হলে এবং আদালত সঠিক মনে করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর সাজা দেওয়া হতে পারে।’

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন স্টারের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়েন। পরে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মির মুখ বন্ধ রাখতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তবে এ ঘুষ দেওয়ার কথা মার্কিন নির্বাচন কমিশনের কাছে চেপে যান ট্রাম্প। সেবার নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারলেও এবার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই এসব অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে।

মূলত এ মামলার সাক্ষী ও মামলা সম্পর্কিত ব্যক্তিদের ট্রাম্পের হাত থেকে রক্ষা করতেই এ গ্যাগ অর্ডার জারি করেছেন বিচারক জুয়ান মার্চান। একই সঙ্গে তাদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া বেশ কয়েকটি বিবৃতি ট্রাম্পকে ট্রুথ সোশ্যাল ও নির্বাচনী প্রচারাভিযানের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার। ফলে ওই হেলিকপ্টারের সকল আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার অনুসন্ধান দল ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর ইরানি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তা বলেন- দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রায়িসির হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে... দুর্ভাগ্যবশত, সব যাত্রী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

সোমবার ভোররাতে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ধ্বংসাবশেষ শনাক্তের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য উদ্ধারকারী দলগুলো রাতভর তুষারঝড় এবং কঠিন ভূখণ্ডের সাথে লড়াই করে।

জানা গেছে, রবিবার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইবরাহিম রায়িসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ও এর পক্ষে থাকায় নিপীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশজুড়ে সর্ববৃহৎ সংহতি সমাবেশ পালিত হয়েছে। ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সারা দিয়ে সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা; যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ হয়েছে।

এ সমাবেশে ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানান। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির পুলিশ দ্বারা চলমান দমন ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান। অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরণের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা ও বেসামরিক বহু মানুষকে জিম্মি করার কথা বলে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এই অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নামেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে মারমুখী দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, ধরপাকড়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে বহিষ্কারও। এত কিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে।

পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলা হচ্ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ নির্মম দমন ও পীড়নের চেষ্টা চালায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার হরণ, বাকস্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে গেল ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং মুখোশধারীদের হামলার কারণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়েও। দেশটির মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ায় শত শত মানুষ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন। তাদের হাতে বড় বড় শব্দে লেখা ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমধ্যে ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




দেশজুড়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা-২০২৪। গত ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে নবীন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞানের নানা প্রকল্প উপস্থাপন করছে। বিজ্ঞান মেলায় জুনিয়র, সিনিয়র এবং বিশেষ- এ ৩টি গ্রুপে প্রকল্পগুলো উপস্থাপিত হচ্ছে। মূলত: ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার বিজয়ী ও সেরা প্রকল্পগুলোই উপস্থাপিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলায়।

আজ (৮ মে) পর্যন্ত মোট ২৮টি জেলায় এ বিজ্ঞান মেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ৮ শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রোবটিক্সের আধুনিক ব্যবহার, সৌর বিদ্যুতের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার, বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রকল্প। বিজ্ঞান মেলা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সভা-সেমিনার।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সম্পৃক্ত রেখে তাদের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানবান্ধব রাষ্ট্রে রূপান্তরের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞান জাদুঘর কাজ করছে। বিজ্ঞান মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী নয়, মেলায় উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োগ করে জনগণের জীবনমান উন্নত এবং নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার অন্যতম লক্ষ্য। এখন বছরে কেবল নির্ধারিত সময়ে নয়, সারা বছরই তৃণমূল পর্যায়ে ছোট ছোট বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে তরুণ প্রজন্মকে অবগাহন করাতে বিজ্ঞান জাদুঘর পরিকল্পনা করছে।


আরও খবর