আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

১৫ আগস্টের ছুটির বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা তার সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা।

১৫ আগস্টে ছুটি থাকবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটার বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। এটা কেবিনেটের কাজ। আমি কেবিনেটে ওটা আলোচনা করব।

জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের কাজ। আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। যার কাছে জিজ্ঞেস করার কথা তাকে বাদ দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় সেকুলারপন্থি দল ছিল, মিডল ক্লাসের। মুসলিম লীগ যখন ছিল, সেটি ছিল আপার ক্লাসের। কত বড় মানুষের দল...। যিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এ দেশ স্বাধীন করেছেন, এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। কারো সন্দেহ থাকার কথা না।‌ উনার নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতা হয়েছে। সেই দল এমনভাবে ভেঙে পড়ে যাবে...।‌ লোকজন লুকিয়ে বেড়াচ্ছে, আবার পেলে কী জানি হয়।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ওনাদেরও আশা দিচ্ছি, কথা দিচ্ছি যে, আপনারা দল গুছিয়ে নেন, আপনাদের দলকে তো কেউ নিষিদ্ধ করেনি। যদি ওই ধরনের জঙ্গি না হয়, তবে একটা দলকে ব্যান করাটা আনলেস। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা ভেরি ব্যাড কালচার। রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আপনি একে দিয়ে তাকে দিয়ে গন্ডগোল করাবেন, আমি আসছি, আমি যাব, আপনি আসবেন... এটা আপনার দেশ। আপনি আসেন না কেন? নাগরিকত্ব তো কারো যায়নি, ২১ বছর প্রধানমন্ত্রীত্ব করেছেন। আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, আপনাকে তো কেউ যেতে বলেনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, স্বেচ্ছায় গেছেন, আপনি ভালো থাকেন, আবার আসেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। অশ্রদ্ধা করছি না। কিন্তু, গন্ডগোল পাকানোর তো কোনো মানে হয় না। গন্ডগোল পাকিয়ে তো কোনো লাভ হবে না। বরং জনগণ আরও ক্ষেপে উঠবে।


আরও খবর



বিকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ মতবিনিময় সভা শুরু হবে। যা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, এবারো তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা হবে। তবে আগের বৈঠকের মতো এই বৈঠকেও আওয়ামী লীগসহ তাদের জোটের কোনো দল মতবিনিময়ে থাকবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতার সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এসময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। এর পর বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার বা তাদের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কাউকে দেখা যায়নি।


আরও খবর



ভারতের বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রাবি) শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা রাবির মেইনগেইটে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি চালান।

এসময় সেখানে 'তুমি কে আমি কে, আবরার আবরার' 'ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান', 'আমার দেশ ডুবলো কেন, সরকারের কাছে জবাব চাই', 'পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা' স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে আন্তর্জাতিক নদীগুলো আছে তার পানিগুলোর ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। ইতোপূর্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে ভারতের যে অন্যান্য ও গোপন চুক্তিগুলো হয়েছিল তা দ্রুত বাতিল করতে হবে এবং বাংলাদেশের সাথে আলোচনা না করে কোনো বাঁধ খুলে দেওয়া যাবে না।

আরবি বিভাগের শিক্ষক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেন, ভারতের সাথে প্রতিবেশি কোনো রাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক নেই। উগ্র, ফ্যাসিস্ট, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সেখানে শাসন করছে। তারা যেভাবে আমাদেরকে শোষণ করেছে তার অন্যতম একটি হলো নদীর পানি শোষণ।

তিনি আরো বলেন, 'আজকে এখানে তরুণ প্রজন্ম দেশ প্রেমের চেতনায় জেগে উঠেছে। কতটা দূরদর্শী ছিল আবরার ফাহাদ। এই ভারত নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় তাকে ফ্যাসিস্টদের দোসররা মেরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা দেশের প্রতিটা জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে ফেলেছিল। তারা শিক্ষার্থীদেরকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে দেয়নি। রাজনৈতিকভাবে ভারত বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তারা এখন পানি নিয়ে খেলা শুরু করেছে।'

প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটা অত্যন্ত দূর্বল পররাষ্ট্রনীতি এবং একই সাথে এই রাষ্ট্রকে ভারতের অলিখিত কলোনিতে পরিণত করেছিল। এই কাজটি তারা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার সাথে কোন আধিপত্যবাদ চলে না। কোন জাতি কখনো আধিপত্যকে মেনে নেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় হাজারাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আশ্রয়ের জন্য বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির রোমানিয়ায় আবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ১ হাজার ৩১২ জন আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

গত ৮ আগস্ট রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রোমানিয়ায় ১ হাজার ৩১২টি আশ্রয়-আবেদন নিবন্ধন করা হয়েছে। আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে শীর্ষে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা। তারা ৩২৯টি সুরক্ষা আবেদন করেছেন। যা মোট আবেদনের ২৫ দশমিক এক শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল। দেশটির নাগরিকরা প্রথম ছয় মাসে ১৫৫টি আবেদন করেছেন। অর্থাৎ ১১ দশমিক ৮ শতাংশ আবেদন নেপাল থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা জমা করেছেন।

প্রথম ছয় মাসে আশ্রয় আবেদন দায়েরের ক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশিরা। ওই সময় ১১৩টি আবেদন জমা করেন বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা। যা মোট আবেদনের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

রোমানিয়া জানিয়েছে, বছরের প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সুরক্ষার আবেদন জমা হয়েছে হাঙ্গেরি সীমান্তবর্তী তিমিসোয়ারা শহরে। এরপরই আছে রাজধানী বুখারেস্ট এবং গিউরগিউ শহরে।

দেশটি আরও জানিয়েছে, রোমানিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ১ হাজার ১০০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে রাখার সক্ষমতা রয়েছে। এ স্থানগুলো ছাড়াও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের আওতায় আরও ৩০০টি স্থান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের মাধ্যমে ৭১টি কন্টেনারে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রোমানিয়ায় বৈধ ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিরা অথবা অনিয়মিত অভিবাসীরা চাইলে আশ্রয় আবেদন করতে পারেন। তবে দেশটিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে এসে শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার হার একেবারেই কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আশ্রয় আবেদনগুলো প্রত্যাখান করা হয়।

তবে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছেন, অনিয়মিত উপায়ে হাঙ্গেরি সীমান্ত পাড়ির চেষ্টা করা অভিবাসীরা সীমান্ত পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর জোরপূর্বক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হতে তাদের বাধ্য করে।


আরও খবর



ফরিদপুরে সংঘর্ষ: হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চান শামা ওবায়েদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির পদ স্থগিত নেতা শামা ওবায়েদ। হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

রোববার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন শামা ওবায়েদ।

শামার বিবৃতিতে বলা হয়, দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব মেনে চলছি। আমি শামা ওবায়েদ, স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমার অবস্থান তুলে ধরছি।

প্রথমত, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের জন্মস্থান এবং আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সাংগঠনিকভাবে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত তাকে আমি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। ২৪ আগস্ট আমাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষ এবং পরবর্তী মামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই আমি।

দ্বিতীয়ত, গেলো ১৮ বছর আওয়ামী লীগের সময় গুম, খুন, জেল, জুলুমসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এখনও চলমান। গেলো জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণহত্যাকে উপেক্ষা করে ছাত্রজনতা ও গণতন্ত্রকামী সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রবল প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যায়। যার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করে। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে দেশি-বিদেশি সবার সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত আছে।

রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন তা এখনও শুকায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্মস্থান তথা আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দা সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখনও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোই এখন আমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা।

এখানে কোনো রাজনৈতিক বিভাজন, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মনোনয়ন বিজয় তোরণ নির্মাণ বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তারে শোডাউন কাম্য নয়।

গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি পালন করে যাচ্ছি। ২১ আগস্টের সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও নামসহ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সংঘর্ষকারীদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।

তৃতীয়ত, দেশে বিদেশে অবস্থানরত আমার শুভানুধ্যায়ীদের নানা ধরনের উৎকণ্ঠা, উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে আমার নিজের অবস্থান তুলে ধরলাম। সবাইকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ১/১১ এর অবৈধ সরকারের নির্যাতনের শিকার গুরুতর আহত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্য, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রামরত সব পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সর্বোপরি বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পর্ক রক্তের।

যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দল নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সচেষ্ট থাকবো।

নিউজ ট্যাগ: শামা ওবায়েদ

আরও খবর



আমি নির্দোষ, আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না: জিয়াউল আহসান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, এ আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ।  শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে তিনি বিচারককে এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ উল্লাহ্ খান জুয়েল নামে এক আইনজীবী আদালতে বলেন, আজ যে আয়নাঘরের উত্থান, এটার মূল কারিগরি এই আসামি। দেশে যত গুম খুন, এর নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়া।

এ সময় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতে বলেন, আমি অসুস্থ, আমার হার্টের ৭৯ শতাংশ ব্লক। আমাকে নিয়মিত মেডিসিন নিতে হয়। এছাড়া আমাকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। সেচ্ছায় অবসর নিতে বলা হয়েছে, তাই আমি অবসর নিয়েছি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) নেওয়া হয়। পরে জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এই তথ্য জানায়। তিনি সবশেষ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে ছিলেন।

জিয়াউল আহসান নানা কারণে বিভিন্ন সময় আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের গুম-খুনের অনেক ঘটনায় তিনি জড়িত। বিশেষ করে সিলেটের বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান রহস্যের সঙ্গে বারবার তার নাম এসেছে।

তিনি র‌্যাবের অধিনায়ক থাকাকালে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ওঠে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায়ও তার নাম আলোচিত হয়।

২০২২ সালের জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। ২১ জুলাই তাকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন জিয়ার জন্যই প্রথমবারের মতো এনটিএমসির মহাপরিচালক পদটি সৃষ্টি করা হয়। আর পদটিতে প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান জিয়াউল আহসান।

জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪