আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

১১ অনুসন্ধানী সাংবাদিকের হাতে উঠল বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ অর্জন করেছেন বিভিন্ন মাধ্যমের ১১ জন সাংবাদিক। সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ, সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। একই অনুষ্ঠানে মফস্বলের সাংবাদিকতায় অবদান রাখা ৬৪ জন প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিককে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ঘিরে সাংবাদিকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। এ উপলক্ষে সোমবার বিকেল থেকেই জমে ওঠে আইসিসিবি। মফস্বল থেকে আগত গুণী ও প্রবীণ সাংবাদিকদের ঘিরে অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুরো অনুষ্ঠানস্থল হয়ে ওঠে প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের মিলনমেলায়। এ ছাড়া বিনোদন অঙ্গনের একঝাঁক তারকার উপস্থিতি অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সংসদ সদস্য, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধারসহ নানা শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা বুবলি।

দেশের গণমাধ্যমে গত বছর প্রকাশিত ও প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিচার বিশ্লেষণ করে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে বাছাই করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে দ্যা ডেইলি স্টারের রিপোর্টার আহমাদ ইশতিয়াক (প্রিন্ট), মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি কাওসার সোহেলী (টেলিভিশন), জাগো নিউজ ২৪.কম-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন জসিম (অনলাইন), অপরাধ ও দুর্নীতি ক্যাটাগরিতে দেশ রূপান্তরের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শোয়েব চৌধুরী (প্রিন্ট), জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার জান্নাতুল ফেরদৌসী (টেলিভিশন), নিউজ বাংলা২৪.কম-এর ফ্রিল্যান্সার জেসমিন পাপড়ি (অনলাইন), নারী ও শিশু ক্যাটাগরিতে সমকালের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাজীব আহাম্মদ (প্রিন্ট), আনন্দ টিভির রিপোর্টার শওকত সাগর (টেলিভিশন), ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আদনান রহমান (অনলাইন), অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রে মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাজাহারুল ইসলাম (টেলিভিশন) এবং আলোকচিত্রে প্রথম আলোর স্টাফ ফটোসাংবাদিক দীপু মালাকার। তাঁদের প্রত্যেককে পুরস্কারের অর্থমূল হিসেবে আড়াই লাখ টাকা, সম্মাননা স্মারক এবং সনদপত্র দেয়া হয়।

এ ছাড়া বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান উপলক্ষে দেশের তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪ প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিককে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, সম্মাননা স্মারক এবং সনদপত্র দেওয়া হয়। পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরীয়। তাদের মধ্যে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো কাভার করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকের। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এ ধরনের বিরল সম্মানে ভূষিত হওয়ায় তাদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে আনন্দের ঝিলিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, সমাজের যাবতীয় অনিয়মগুলো দায়িত্বশীলদের নজরে আনার কাজটি করে যান সাংবাদিকরা। তারা সমাজকে সঠিক পথে প্রবাহিত করতে যে ভূমিকা পালন করেন, তা অন্য কারও দ্বারা সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের মেধা ও যোগ্যতার কোনো ঘাটতি নেই। এমন অনেক সাংবাদিক আছেন, যারা বিসিএস পরীক্ষা দিলে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে বড় পদে আসীন হতে পারতেন।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ সকল সাংবাদিকদের মধ্যে উৎসাহ জোগাবে। একইসঙ্গে গুণী সাংবাদিকদের সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে তারা খুবই মহৎ কাজ করেছে। এ জন্য আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে সাধুবাদ জানাই। পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানান তিনি।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের আন্তরিকতার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমান সরকারের শাসনামলেও বেসরকারি টেলিভিশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এটি গঠনের উদ্দেশ্যই সাংবাদিকদের সহায়তা দেয়া। এটি আজকে সাংবাদিকদের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার এমন সাংবাদিকরাও সহায়তা পেয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাবেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোয় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি কোন আইনের মাধ্যমে বিচার প্রত্যাশা করবেন? তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ আইন করা হয়। এই আইনের ফলে অনেকেই বিচার ও নিরাপত্তা পেয়েছেন। তবে এই আইনের কারণে কোনো সাংবাদিক বা নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতির দেশ হলেও করোনা পরিস্থিতিতে একজন মানুষকেও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়নি। সরকারের আন্তরিকতায় দ্রুত করোনা টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের সাফল্যগুলো অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তার বক্তব্যে বলেন, সারা দেশ থেকে প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার এই পদক্ষেপ দেশের নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। এই আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আগামী বছর থেকে পুরস্কারের পরিধি আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কালের কণ্ঠ পত্রিকার মধ্য দিয়ে আমরা মিডিয়া জগতে পা রাখি। তারপর একে একে সাতটি মিডিয়া হাউজ খুলেছি। বাংলাদেশ প্রতিদিন বাংলাদেশের এক নম্বর পত্রিকা। সবার হাতে হাতে পত্রিকাটি দেখা যায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছি। যিনি না হলে আজকে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর কারণে আজকে দেশে সাংবাদিকতায় সমৃদ্ধি পেয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সত্যকে সত্য বলবেন, মিথ্যাকে মিথ্যা। আমাদের পত্রিকা প্রকাশনার উদ্দেশ্যই ছিল সত্য তুলে ধরা।

দেশের অগ্রযাত্রায় ব্যবসায়ীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ব্যবসায়ীদের নিয়ে সমালোচনা করার আগে অবশ্যই তাদের অবদান স্বীকার করতে হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো অন্যায় জুলুমের শিকার না হন, সেদিকে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। আমরা সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আমাদের নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা একটি কঠিন কাজ। এই পেশাটিকে সামনে এগিয়ে নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। তাতে সারা দেশ থেকে সাংবাদিকদের সহায়তা পাচ্ছি। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরছেন অনেক ঝুঁকি নিয়ে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের সাংবাদিকরা আরও প্রাণবন্ত হবেন। আজকের এই পুরস্কারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন হবে। এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

জুরিবোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান তার বক্তব্যে বলেন, যারা মানোন্নয়নে সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন যারা সংবাদ জনগণের কাছে বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন যারা নিজেদের অবস্থানকে সৎ রেখেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আমি আজ বিশ্বাস করি এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তারা আরও শক্তি পাবেন এবং আমাদের ভবিষ্যতে আরও উন্নতির দিকে যাবে এইটুকু আশা করছি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে দেশের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনটি করতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। এই আনন্দঘন দিনে যাদের হাতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পুরস্কার উঠেছে, তাদের সবাইকে জানাই অভিনন্দন! একইসঙ্গে মফস্বলের ৬৪ জন গুণী সাংবাদিককে বিশেষ সম্মাননা দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আপনাদের সম্মান জানাতে পেরে আমরা নিজেরাই সম্মানিত বোধ করছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা যাতে কোনো রকম প্রভাব ছাড়া কাজ করতে পারেন, আমরা সবসময় সেদিকে খেয়াল রেখেছি। আমাদের ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই ছিল, গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা। আমরা তা করে দেখাতে সক্ষম হয়েছি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ থেকে পুরস্কারের প্রচলন করেছেন উল্লেখ করে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বড় বড় পুরস্কারের প্রচলন রয়েছে। আমরা সেই ধাচে উদ্যোগটি নিয়েছি, যাতে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা অনুসন্ধানের দিকে অনুপ্রাণিত হয়। এটি আমরা প্রতিবছর করবো, ইনশাআল্লাহ। আমার বিশ্বাস, এর মধ্য দিয়ে দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চর্চা আরও বৃদ্ধি পাবে।

মফস্বলের গুণী সাংবাদিকদের মধ্যে আট বিভাগ থেকে আটজনকে মঞ্চে তোলা হয়। তারা হলেন রাজশাহী বিভাগ থেকে পাবনার রণেশ মৈত্র, খুলনা বিভাগে যশোরের অধ্যাপক মসিউল আযম, ঢাকা বিভাগে নরসিংদীর নিবারণ চন্দ্র রায়, চট্টগ্রাম বিভাগে রাঙ্গামাটির এ কে এম মকছুদ আহমেদ, সিলেট বিভাগে সিলেটের আব্দুল মালিক চৌধুরী, বরিশাল বিভাগে বরিশালের মানবেন্দ্র বটব্যাল, রংপুর বিভাগে গাইবান্ধার গোবিন্দলাল দাস, ময়মনসিংহ বিভাগে জামালপুরের এ এ কে মাহমুদুল হাসান দারা। তাদেরসহ সব গুণী সাংবাদিকদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। গুণী সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন পাবনার রনেশ মৈত্র।

তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তারা কি করে আমাকে খুঁজে পেয়েছে আমি জানি না। আমি অভিভূত। জীবনের শেষ বয়সে এসে এমন একটি সম্মানে ভূষিত হওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ঢাকার সাংবাদিকরা ছাড়াও মফস্বল থেকে প্রচুর প্রতিবেদন জমা পড়ে। পুরস্কারের পুরো প্রক্রিয়াটি হয়েছে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্ত। এ লক্ষ্যে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক মানের জুরি বোর্ড। অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমানের নেতৃত্বে জুরিবোর্ডে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় থাকা টেলিভিশন চ্যানেল টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিব, আলোকচিত্রী ও লেখক নাসির আলী মামুন, চলচ্চিত্র শিক্ষক গবেষক ও পরামর্শক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, দেশে বিদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া জুলফিকার আলি মাণিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি, দবিরুল ইসলাম এমপি, সাইফুজ্জামান শিখর এমপি, নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, আয়েন উদ্দিন এমপি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, শিরিন আক্তার এমপি, পংকজ দেবনাথ এমপি, সাহা দারা মান্নান এমপি, সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু, বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা এমপি, জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারি এমপি ।

এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন,  নেপাল দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কুমার রায়,  রাশিয়া,  মরক্কো,  থাইল্যান্ড দূতাবাসের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে লরিচাপায় এক পরিবারের ৩ জন নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার (৩ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির (৩০) ও রাহেলা বেগম (৫০)। তাদের সবার বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত ২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর



সাভারে রিকশাচালককে পুলিশের মারধর, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ভারের আশুলিয়ায় এক রিকশাচালককে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান স্থানীয় রিকশাচালকরা।

খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই রিকশাচালককে ওই পুলিশ সদস্য মারধর করেন বলে জানা যায়। এরপরই বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান রিকশাচালকরা। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ভুক্তভোগী রিকশাচালকের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সড়ক দিয়ে চলাচল করা অটোরিকশা ধরে রেকার বিল করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য। এ সময় ভুক্তভোগী চালকের রিকশা আটক করা হয়।  কথা কাটাকাটি হলে রিকশাচালককে কিল-ঘুষি মারেন পুলিশের ওই সদস্য। চোখে ঘুষি লাগলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।

পরে তাকে উদ্ধার করে কামারপাড়া ইস্টওয়েস্ট মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর রিকশাচালকেরা একত্রিত হয়ে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে চালকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। 

আশুলিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, রিকশাচালকের সঙ্গে হালকা একটু ঝামেলা হইছিল। প্রধান সড়কে তো ওরা আসে, আমরা তো ধরি। বিল করতে গিয়ে এরকম একটু হয়। এ ছাড়া কিছু না। আমরা মারধর করিনি।

তিনি বলেন, রিকশা ধরতে গেলে তারা অনেক সময় থামেন না। তখন চাবি নিয়ে গেলে একটু হাতাহাতি হয়, টানাটানি হয় ওরকম কিছু। এমনি মারধরের কিছু নয়। পরে রিকশাচালকরা সামান্য সময় রোড ব্লক করেন। ৫-১০ মিনিটের মতো ছিলেন। এখন রাস্তা পুরোপুরি ক্লিয়ার। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানার ওসিও এসেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, রিকশাচালকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লাগা আগুন আধা ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি টিনশেড ঘর থেকে ধোঁয়া দেখতে পান তারা। পরে জানতে পারেন জেনারেটর রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ৫টি ইউনিট পাঠানো হয়। বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে তারা আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এসময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর