আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

১ লাখ ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র কৃষককে ঋণ দেবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উৎপাদনশীল ও আয়বর্ধক কার্যক্রমে কৃষকের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে দেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ক্ষুদ্র কৃষককে ঋণ দেবে সরকার। এ ঋণের সুদহার হবে ১১ শতাংশ। তবে সুফলভোগীদের তহবিলে ১ শতাংশ যুক্ত হবে। প্রকল্পের আওতায় কিছু বৃহৎ ঋণও দেওয়া হবে। ফলে প্রকল্প অনুমোদনের পর ঋণের আওতায় আসবে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার কৃষক। আড়াই থেকে ৫ শতাংশ জমি থাকলেই কোনো ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র কৃষক হিসেবে বিবেচনা করে এ ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হবে। ঋণ দেওয়ার দুই মাস পর থেকে নেওয়া হবে সুদ। প্রথম ধাপে ক্ষুদ্রঋণের ভলিউম হবে ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় কিছু কৃষক বা বর্গা নেওয়া খামারিদের দেওয়া হবে বড় ঋণ। এর ভলিউম দেড় লাখ থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত হবে।

রূপকল্প ২০৪১: দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র সঞ্চয় যোজন প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এসএফডিএফ)। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ১৪৯ কোটি টাকা। আগামীকাল বুধবার (১ জুন) পরিকল্পনা কমিশনের একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় ১১ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন প্রান্তিক কৃষক। কৃষকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এ ঋণ বিতরণ করা হবে। এ ঋণের ১১ শতাংশ সুদহারকে সুদ না বলে সার্ভিস চার্জ বলছে ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। এ ঋণ হবে জামানতবিহীন। ১ শতাংশ আবার কৃষক ফেরত পাবেন। ১ শতাংশ যাবে তহবিলে। দেশের দুইশো উপজেলার কৃষকের মাঝে এ ঋণের টাকা বিতরণ করা হবে।

ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (আইসিটি, পরিকল্পনা ও ডকুমেন্ট) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পটি বুধবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্প অনুমোদনের পর এ ঋণের আওতায় আসবে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র কৃষক। ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন অলাভজনক সংস্থা। আমরা ১১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নিই। এটা সুদ নয়, সার্ভিস চার্জ। ব্যাংক ঋণের সঙ্গে এর তুলনা করলে হবে না। আমরা কৃষকের ঘরে ঘরে গিয়ে ঋণ দিয়ে আসি। এ কাজে এনজিওগুলো ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ সুদ নেয়। আমরা নিচ্ছি ১১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ। ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আবার কৃষকদের ফেরত দেওয়া হবে। আমরা প্রফিট করি না, আয় থেকে ব্যয় হবে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৪৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হলেও লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্কসহ একাধিক অনুচ্ছেদে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ২৭৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকল্পে ক্ষুদ্রঋণ ৮৬ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ ২০ কোটি ৬০ লাখ এবং বিশেষ উৎসাহ তহবিল বাবদ ১০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। এ অর্থ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৭৮ শতাংশ প্রায়। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর ৩০ জুন ২০২৪ সাল নাদাগ বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্প এলাকা: বর্তমানে ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দেশের ৩৬টি জেলার ১৭৩টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি আরও ২৭টি নতুন উপজেলায় সম্প্রসারণসহ ২০০টি উপজেলায় বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রান্তিক চাষিদের জামানতবিহীন ঋণসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। উৎপাদনশীল বা আয়বর্ধক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য দেশের ক্ষুদ্র কৃষকের আর্থিক সক্ষমতা অত্যন্ত অপ্রতুল। এরই ধারাবাহিকতায় পল্লি অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের একটি সাংগঠনিক কাঠামোর আওতায় সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আর্থিক সহায়তা, উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে আরও ২৭টি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করে মোট ২০০টি উপজেলায় ক্ষুদ্রঋণ বাস্তবায়নের জন্য রূপকল্প ২০৪১: দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র সঞ্চয় যোজন শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ২০০টি উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন। প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্যতম উদ্দেশ্য ২০২৪ সালের মধ্যে সুফলভোগী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু আয় চার হাজার টাকা বাড়ানো।

প্রকল্পের মেয়াদকালে ৩০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া সুফলভোগীদের নিজস্ব সঞ্চয় ও প্রকল্পের অর্জিত সার্ভিস চার্জের ১ শতাংশ সঞ্চয় যোজনের মাধ্যমে মাথাপিছু সঞ্চয় দুই হাজার ৫০০ টাকা বাড়ানো হবে। প্রকল্প মেয়াদে ২০ হাজার সুফলভোগীর আয়বর্ধক কার্যক্রম পরিচালনা ও সচেতনতায় দক্ষতা বাড়ানোও অন্যতম উদ্দেশ্য। সুফলভোগীদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমও বাড়ানো হবে। ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পরিবার কল্যাণ, যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিয়ে রোধ, নারী নেতৃত্বের বিকাশ, নারীর ক্ষমতায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ, শিশু অধিকার সংরক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণের যথাযথ ব্যবহার, আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, মাতৃত্ব ও শিশুস্বাস্থ্য ইত্যাদি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণ ও উৎসাহ দেওয়া হবে প্রকল্পের আওতায়।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম: গ্রাম পর্যায়ে দুই হাজার চারটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক উন্নয়ন কেন্দ্র গঠন এবং ১০ হাজার সুফলভোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবেন ১৭৩ জন উপজেলা ব্যবস্থাপক ও ৪৬৮ জন মাঠ কর্মকর্তা। প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার ২০০টি উপজেলায় মোট জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তিন কোটি প্রান্তিক কৃষক। তাদের মাসিক আয় আট হাজার টাকার মতো। প্রকল্পভুক্ত ২০০টি উপজেলায় দারিদ্র্য বিমোচন এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এসব উপজেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ অন্যতম স্বীকৃত পন্থা।

বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিভিন্ন ধরনের সংগঠন সমন্বিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বিশেষভাবে পল্লি এলাকার দরিদ্র, যারা কার্যত সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫ একর চাষযোগ্য জমির মালিক- এরূপ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র কৃষককেন্দ্রিক। ক্ষুদ্রঋণের সহজলভ্যতা প্রান্তিক এসব কৃষককে দারিদ্র্যসীমার নিচে নামা রোধ করতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ১৯৭৬ সালে কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহ জেলার তিনটি সদর থানায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষুদ্র কৃষক ও ভূমিহীন শ্রমিক উন্নয়ন প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করে। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই দেশে সর্বপ্রথম জামানতবিহীন ঋণদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীসময়ে এ কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন উপজেলায় প্রসার লাভ করে। এরপর সরকার ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা এসএফডিএফ নামে স্বতন্ত্র একটি সংগঠন গড়ে তোলে। গরিব, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের সমস্যা সমাধানই এর মূল উদ্দেশ্য।


আরও খবর



ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সংবিধান অনুসারে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার (৬৮) অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসাবে মোখবার সংসদের স্পিকার ও বিচার বিভাগের প্রধানের সাথে তিন সদস্যের কাউন্সিলের অংশ হবেন। এই কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে একটি নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ১৯৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া মোহাম্মদ মোখবারকে রাইসির মতো সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়। ২০২১ সালে রাইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হন মোখবার।

গত বছরের অক্টোবরে ইরানি কর্মকর্তাদের একটি দলের সঙ্গে মোখবার  মস্কো সফর করেছিলেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং আরও ড্রোন সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছিলেন। সূত্রগুলো এ তথ্য তখন রয়টার্সকে জানিয়েছিল। প্রতিনিধিদলে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক কর্মকর্তাও ছিলেন।

২০১০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোহাম্মদ মোখবারকে পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার কথা বলে নিষেধাজ্ঞাকারী ব্যক্তি ও সংস্থার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। তবে দুই বছর পর তাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

মঙ্গলবার জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জ্যামাইকা অবজার্ভার এবং আলজাজিরা

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা।

গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।


আরও খবর



আরসার আস্তানায় অভিযান, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গ্রেনেডসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চলছে। তবে এরই মধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়ার গহিন পাহাড়ে লাল পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

এ পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলে জানায় র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর



সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কর্মচারী মিনহাজ। গত ৩ আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ছাড়াও অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এমন ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছে।

প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা। সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল মিনহাজ ওরফে ফারুক। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।

কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে।

আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে রাখেন মিনহাজ। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের যে সমিতি রয়েছে সেই সমিতি থেকেও সে ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণ মিলে কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে মিনহাজ।

এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জামিনদার। তারা জানিয়েছেন, মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের টাকা নিয়ে কর্মচারী উধাওয়ের ঘটনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন- ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।

লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। লাপাত্তা হওয়ার পর জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না।

সাইফুল জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে তিনি জানেন না। সে বিদেশে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। পলাতক হওয়ার পর অনেকে এসে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছেন, তার কাছে পাওনা টাকা রয়েছে। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর